Skip to main content

মিয়ানমারঃ পাঁচ বছর ধরে রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো বিচার নেই, কোনো স্বাধীনতা নেই

নৃশংসতার পাঁচ বছর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দায়িত্বহীনতাকেই সামনে নিয়ে আসে।

টেকনাফ এর কাছে মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর রোহিঙ্গারা ধান ক্ষেতের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, সেপ্টেমবর ১, ২০১৭ © 2017 AP Photo/Bernat Armangue

(ব্যাংকক) – আজ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে যে, ২৫শে আগস্ট, ২০১৭-তে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী উত্তর রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক হত্যাকান্ড, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগের ব্যাপক অভিযান শুরু করার পাঁচ বছর পরেও রোহিঙ্গা মুসলিমরা এখনও ন্যায়বিচার এবং তাদের অধিকারের সুরক্ষার অপেক্ষায় আছে ৭৩০,০০০ এরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনিশ্চিত, বন্যা প্রবণ ক্যাম্প এলাকায় পালিয়ে এসেছিল, এবং প্রায় ৬০০,০০০ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের নিপীড়ন এর ভেতর রয়ে গিয়েছে।

এই মানবতাবিরোধী
অপরাধ এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার মত অভিযানের জন্য কাউকে দায়বদ্ধ করা হয়নি। এই সময়ে সংশ্লিষ্ট সরকারদের আর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জবাবদিহি করতে এবং বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং সমগ্র অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে আসা দরকার

সরকারদের উচিত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী অভিযানের পাঁচ বছর শেষ হতে চলাকে সামনে রেখে জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের জন্য একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক কৌশল খুজে বের করা যা রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলবে,” বলেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর ভারপ্রাপ্ত এশিয়া ডিরেক্টর ইলেইন পিয়ারসন দাতাদের উচিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অধ্যয়ন এবং অবাধে এবং নিরাপদে কাজ করার জন্য সহায়তা করা যাতে তারা স্বাধীন স্বনির্ভর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারে।


আগস্ট ২০১৭ থেকে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশে কয়েকশ রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়েছে যারা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে এসেছে। তারা এমন সব ঘটনা বর্ণনা করেছে যেখানে সৈন্যরা পরিকল্পিতভাবে গ্রামবাসীদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার আগে হত্যা ও ধর্ষণ করেছিল। সেই সময়ে সব মিলিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে এবং প্রায় ৪০০টি গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে যারা প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল তারা কয়েক লাখ শরণার্থীদের সাথে যোগ দিয়েছে যারাও আগে একইভাবে সহিংসতা ও নিপীড়নের অভিযান থেকে পালিয়ে এসেছে।

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আমাদের ওপর বর্বরতা চালিয়েছে,” বলেছেন বাংলাদেশের একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী আব্দুল হালিম, ৩০ “তারা আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, আমাদের মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে, আমাদের শিশুদের পুড়িয়ে মেরেছে সেই বর্বরতা থেকে বাঁচতে আমরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছি। এখন আমি পাঁচ বছর ধরে কুতুপালং ক্যাম্পে বসবাস করছি।“ ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল তার মাকে খুব অসুস্থ অবস্থায় পিঠে বহন করে নিয়ে আসে বাংলাদেশে পৌঁছানোর কিছুদিন পরেই তিনি (আব্দুলের মা) মারা যান।

রাখাইন রাজ্যে থাকা রোহিঙ্গারা বর্ণবাদ, নিপীড়ন এবং স্বাধীনতা বঞ্চনার মত মানবতাবিরোধী অপরাধে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতনের সম্মুখীন হয়ে আসছে তারা চলাচলের স্বাধীনতা ছাড়াই ক্যাম্প ও গ্রামে আটকাবস্থায় আছে, যেখানে পর্যাপ্ত খাবার, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, এবং জীবিকার সুযোগ থেকে বঞ্চিত


আমরা যখন মিয়ানমারে শিশু ছিলাম, আমাদের কখনই কোনো স্বাধীনতা ছিল না,” আবদুল বলেন। "তারা আমাকে 'নোয়া কালার' [ যা মুসলিমদের জন্য একটি গালি হিসেবে ব্যবহৃত হত] বলে ডাকত, যার অর্থ যে আমরা পশুর মতো।"

মিয়ানমারের ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের অধীনে রোহিঙ্গাদের কার্যকরভাবে নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়েছে, তাদের রাষ্ট্রহীন করা হয়েছে। ২০১৭ সালের নৃশংসতার মূল ছিল কয়েক দশকের রাষ্ট্রীয় দমন, বৈষম্য এবং সহিংসতা।

"মিয়ানমারে, আমরা সারা জীবন ধরে সংগ্রাম করে আসছি," বলেছেন ৪০ বছর বয়সী হাসিনা হাতু। আমরা যখন ছাগল লালন পালন করি, তখন সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা ছাগলগুলো নিয়ে যেত। আমরা যখন গবাদি পশু পালন করতে শুরু করলাম, তারা গবাদি পশু নিয়ে যেত। আমরা যখন ধানের ক্ষেতে চাষ করতাম, তখন তারা ধান নিয়ে যেত।“ ২০১৭ সালে পালিয়ে যাওয়ার সময় কর্দমাক্ত ঢালে পড়ে হাসিনার বাবা মারা যান।

যে সকল সামরিক জেনারেলরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা পরিচালনা করেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারাই একটি সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল এবং মিয়ানমারের নির্বাচিত বেসামরিক নেতাদের আটক করেছিল। সামরিক জান্তা বাহিনী বিক্ষোভের বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, এবং নির্বিচারে আক্রমণের মত দেশব্যাপী অভিযানের মাধ্যমে জবাব জানায় যা মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকায় যুদ্ধাপরাধের মাত্রায় অভিযুক্ত। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে— ২০১৭  সালের নৃশংসতার সাথে জড়িত সামরিক ইউনিটগুলিকে সারা দেশে নতুন অভিযানে মোতায়েন করা হয়েছে৷


সামরিক জান্তা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও গ্রামগুলোতে নতুন করে চলাচলের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং সাহায্য কার্যক্রমে বাধা দিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে রোগ ও অপুষ্টির সাথে পানি ও খাদ্য ঘাটতি বেড়ে গিয়েছে। অভ্যুত্থানের পর থেকে, নিরাপত্তা বাহিনী "অননুমোদিত ভ্রমণের" জন্য আনুমানিক ২,০০০ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে যার মধ্যে আছে শত শত শিশু। এদের অনেকেরই সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। অপরদিকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও জাতিগত আরাকান আর্মির মধ্যে ক্রমবর্ধমান লড়াই রোহিঙ্গাদেরকে দুপক্ষের মাঝখানে ফেলে দিয়েছে।

বাংলাদেশে, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ, জনাকীর্ণ ক্যাম্পে এবং ভাসানচরের বিচ্ছিন্ন পলি দ্বীপে বসবাস করছে। পাঁচ বছর ধরে, বাংলাদেশ সরকার নন-রিফুলমেন্টের আন্তর্জাতিক নীতিকে সম্মতি জানিয়ে আসছে, যার অর্থ শরণার্থীদের এমন দেশে ফেরত না যাওয়ার অধিকার দেয়া যেখানে তাদের জীবন বা স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে।

তবে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জীবন জীবিকা, চলাচল এবং শিক্ষার উপর সম্প্রতি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যা অনেক শরণার্থীকে অবাঞ্ছিত এবং ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। কর্মকর্তারা কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন স্কুলগুলি বন্ধ করে দিয়েছে, দোকানগুলি বন্ধ করে দিয়েছে এবং চলাচলে নতুন বিধি নিষেধ আরোপ করেছে।

আমাদের ছেলে মেয়েরা যদি এখানে বাংলাদেশেও শিক্ষিত না হতে পারে, তাহলে আমরা যেখানেই যাই না কেন, আমরা নির্যাতিত হব,” আব্দুল বলেন।


বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ প্রায় ২৮,০০০ রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে স্থানান্তরিত করেছে, যেখানে তারা ব্যাপক ভাবে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের সম্মুখীন হয়ে আসছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এর জড়িত থাকা সত্ত্বেও, অনেককে সম্পূর্ণ ভাবে এবং অবহিত সম্মতি নেয়া ছাড়াই স্থানান্তর করা অব্যাহত রয়েছে এবং মূল ভূখণ্ডে ফিরে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছেহিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত নতুন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং শরণার্থীদের জোরপূর্বক স্থানান্তর বন্ধ করা।

"আমরা এভাবে আর কতদিন বাঁচব?" বলেন হাসিনা। "আমি মনে করি না এই বিশ্ব আমাদের অবস্থার সমাধান করবে।"

রোহিঙ্গা মানবিক সংকটের জন্য ২০২২ সালের জয়েন্ট রেসপন্স প্লান-টিতে এটির প্রস্তাবিত ৮৮১ মিলিয়ন ইউএস ডলারের তহবিলের মাত্র এক চতুর্থাংশ পেয়েছেশরণার্থী জনসংখ্যার ব্যাপক এই চাহিদা মেটাতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়া সহ দাতা রাষ্ট্রগুলোর উচিত বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটিকে সহায়তা করার জন্য আরও তহবিল বৃদ্ধি করা।


বাংলাদেশ সরকার এবং মিয়ানমার সামরিক জান্তা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে নতুন করে আলোচনা করেছে, যেখানে জানুয়ারিতে "যাচাই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার" যৌথ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। মিয়ানমারে চলমান নিপীড়ন ও নির্যাতনের কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ফিরে যেতে নারাজ হওয়ায় দুটি পূর্ব প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। মানবাধিকার বিষয়ক বিদায়ী জাতিসংঘের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট কক্সবাজার সফরের পর ১৭ই আগস্ট ঘোষণা করেছিলেন যে, "সীমান্তের ওপারের বর্তমান পরিস্থিতি  প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত নয়।"

আমরা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই আর সেখানে যাওয়ার জন্য আমরা ন্যায়বিচার চাই,” ২১ বছর বয়সী মোহাম্মদ আয়াজ বলেন। “আমাদের তেরপলের (ভারী ঝড়বৃষ্টি প্রতিরোধকারী কাপড়) ঘরে আর কতদিন থাকতে হবে? পাঁচ বছর হয়ে গেল। কতদিন এখানে থাকতে হবে কে জানে। বিশ্ব আমাদের ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করবে কি না কে জানে। ২০১৭ সালের ৩০শে আগস্ট তুলা তুলির গ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় মোহাম্মদ গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তার বাবা-মা এবং বোনসহ তার পরিবারের অন্তত ১২ জন সদস্য নিহত
হন।

মালয়েশিয়া, ভারত এবং থাইল্যান্ডে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অভিবাসন বন্দিস্থানে আটকে রাখা হয়েছে অথবা সেখানে তারা পর্যাপ্ত সহযোগীতা ও সুরক্ষা ছাড়াই বসবাস করছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে ২০১৭ সালের সহিংসতার ইন্টারন্যাশনাল রেসপন্সটিকে ভেঙে ছোট এবং স্থগিত করে ফেলে হয়েছিল, কেননা সরকারগুলি কূটনীতির পক্ষপাতী ছিল যা সেনাবাহিনীর উপর প্রকৃত চাপ দেওয়ার জন্য কৌশলগত পদক্ষেপের চেয়ে সামান্যই বেশি অর্জন করতে পেরেছিল


রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য পরিস্থিতি তৈরি করতে মিয়ানমারে অধিকার-সম্মানজনক শাসন প্রতিষ্ঠা এবং রাখাইন রাজ্যে অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার জন্য একটি সমন্বিত ইন্টারন্যাশনাল রেসপন্স প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক বেসামরিক শাসনের অধীনে একটি ভবিষ্যত মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের জন্য পূর্ণ নাগরিকত্বের অধিকার এবং চুরি বা ধ্বংসকৃত জমি ও সম্পত্তি সহ নৃশংসতার জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে।

চীন ও রাশিয়ার পূর্বানুমানকৃত ভেটোর কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষ্ক্রিয়তার অবসান ঘটানো উচিত এবং জরুরীভাবে মিয়ানমারের ওপর বৈশ্বিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা, পরিস্থিতিগুলোর বিবরন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানো এবং জান্তা ও সামরিক মালিকানাধীন সংগঠনগুলোর ওপর লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা উচিত। .

"আমরা কিসের জন্য অপেক্ষা করছি?" যুক্তরাষ্ট্রের একজন কূটনীতিক ২০২১ সালে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বক্তব্যে এ কথা বলেছিলেনআমরা যত দেরি করব, তত বেশি মানুষ মারা যাবে। এই পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। এবং এটি মিয়ানমারের জনগণকে ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ এবং অন্যান্য সরকারের উচিত রাখাইন রাজ্য সহ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে তাদের অভিযানের রাজস্ব অর্থায়ন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জোরদার করা। এসব দেশের সরকারদের জান্তার গ্যাস রাজস্বকে লক্ষ্য করা উচিত, যা এটির (মিয়ানমারের) বৈদেশিক আয়ের বৃহত্তম উৎস, বার্ষিক মুনাফা প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের। ইইউ ফেব্রুয়ারিতে জান্তা-নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমারের তেল ও গ্যাস এন্টারপ্রাইজকে নিষেধাজ্ঞা দেয়, কিন্তু অন্যান্য সরকারগুলি এখনও পর্যন্ত তা অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। দি অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) এর উচিত জরুরিভাবে সংকটের জন্য তার ব্যর্থ পাঁচ-দফা কনসেন্সাস রেসপন্স বর্জন করা এবং এর পরিবর্তে জান্তার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপের সমন্বয় করা।

আমরা আশা করি, বিদেশি সরকার এবং বাংলাদেশের সহায়তায় আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেতে পারব,” আবদুল বলেন. "এটাই আমরা চাই।"

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়া কর্তৃক আনীত গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে মামলাটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন করা সহ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অপরাধের জন্য ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতার জন্য সরকারগুলোর প্রতিটি উপায় অনুসন্ধান করা উচিত। কানাডা এবং নেদারল্যান্ডস এই কার্যক্রমকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে তাদের অভিপ্রায় প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে।


সরকারগুলিকেও সক্রিয়ভাবে সার্বজনীন বিচারব্যবস্থা নীতির অধীনে তদন্ত এবং বিচারের ব্যাবস্থা করা উচিত, অপরাধের জন্য ন্যায়বিচারের একটি উপায় যা এত গুরুতর যে সমস্ত স্টেট/দেশ তাদের মোকাবেলায় আগ্রহী। আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগ সার্বজনীন বিচারব্যবস্থার অধীনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের নৃশংসতার তদন্ত শুরু করেছে

"মিয়ানমার জান্তা কর্তৃক বিক্ষোভকারীদের হত্যা, বেসামরিক লোকদের উপর গোলাবর্ষণ এবং অন্যান্য অপব্যবহারগুলি পাঁচ বছর আগের নৃশংসতার জন্য জেনারেলদের জবাবদিহি করার ব্যর্থতাকে বড় আকারে প্রতিফলিত করে," পিয়ারসন বলেন। "প্রভাবশালী সরকারগুলির উচিত তাদের অতীতের ভুলগুলি কাটিয়ে ওঠা, এবং জান্তার চলমান অপরাধগুলিকে স্বীকার করে অস্ত্র ও রাজস্বের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া।"

Your tax deductible gift can help stop human rights violations and save lives around the world.

Region / Country
Tags